হার্টবিট ডেস্ক
আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আসছে অর্থবছরে গতানুগতিকভাবে মোট বাজেটের ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যে বরাদ্দ দেওয়ার পরিবর্তে ৭ থেকে ৮ শতাংশ বরাদ্দ করা উচিত। মধ্যম মেয়াদে এ অনুপাত ১০ থেকে ১২ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা যেতে পারে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) অনলাইন ফ্ল্যাটফর্ম জুমে আয়োজিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে “স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ” শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার জন্য মোট যে ব্যয় তার ৭৩ শতাংশই আসে নাগরিকদের পকেট থেকে। বাকি ২৭ শতাংশ জাতীয় বাজেট বরাদ্দ থেকে। স্বাস্থ্য সেবাপ্রার্থী নাগরিকদের এই ‘আউট অফ পকেট কস্ট’ কমানোর জন্য জাতীয় বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।
আলোচনার শুরুতে উন্নয়ন সমন্বয়ের পক্ষে মোট স্বাস্থ্য বাজেটের বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে নীতি প্রস্তাবনার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন বাজেট এবং বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ড. আতিউর।
সংরক্ষিত নারী আসন ৪৮-এর সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান বলেন, স্বাস্থ্যে উন্নয়ন বরাদ্দের বড় অংশ অব্যয়িত থেকে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে এ খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
এ প্রসঙ্গে ড. আতিউর বলেন, যেসব মন্ত্রণালয় উন্নয়ন বরাদ্দ ব্যয়ের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি সক্ষমতা দেখাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এগোতে পারে।
স্বাস্থ্যখাতের ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা বাড়াতে পৃথক স্বাস্থ্য ক্যাডার গড়ে তোলার বিষয়টি ভাবা দরকার বলে উল্লেখ করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বিমা বিদ্যমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়। এ শ্রেণির নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
উন্নয়ন সমন্বয়ের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প সমন্বয়কারী শাহীন উল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আমিরুল আলম, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এবং সংরক্ষিত নারী আসন ১১-এর এমপি আরমা দত্ত। বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ ও সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী।
Discussion about this post