হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে সরকারি-বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএসসি ইন নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ পরিবর্তন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল সদস্য-সচিব ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রাশিদা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আবেদনের তারিখ ৩ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ২০ এপ্রিল (বুধবার) রাত ১২টা পর্যন্ত।
অনলাইনে আবেদনের ফি জমাদানের শেষ তারিখ : বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাত ১১.৫৯টা পর্যন্ত।
প্রবেশপত্র প্রিন্ট করার তারিখ: ১২ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা হতে শুরু।
ভর্তি পরীক্ষার সময় ও তারিখ: ২০ মে (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা।
ভর্তি পরীক্ষার ফি: বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের জন্য ৭০০ টাকা এবং ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি/ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের জন্য ৫০০ টাকা আবেদন ফি হিসেবে টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে জমা দিতে হবে। অনলাইনে ফি জমা হলেই আবেদন চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে।
এতে আরোও বলা হয়েছে ‘নিম্নলিখিত শর্তে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের নিকট হতে দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।’
শর্তাবলি
১. প্রার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২. আবেদনকারীকে ২০২০ বা ২০২১ এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০১৮ বা ২০১৯ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং (বিএসসি ইন নার্সিং)
বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি বা সমমানের ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ (GPA) ৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
৪. তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি/ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি
যে কোনো বিভাগ হতে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ (GPA) ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোনও পরীক্ষায় জিপিএ (GPA) ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫. ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তির জন্য পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট আসনের ২০ শতাংশ ভর্তিযোগ্য হবে। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৬. নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সসমূহে ভর্তির জন্য অনলাইনে ফরম পূরণের নির্দেশিকা ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য (Details instruction for application) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট-www.mefwd.gov.bd, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট-www.dgnm.gov.bd এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট www.bnmc.gov.bd এর মাধ্যমে জানা যাবে।
৭. এক ঘন্টার ১০০ নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিন্যাস:
ক. বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের নম্বর বিভাজন: বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-১০, বিজ্ঞান-৩০ (জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিদ্যা ও রসায়ন) এবং সাধারণ জ্ঞান-২০ অর্থাৎ সর্বমোট-১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
খ. ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি/ ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের নম্বর বিভাজন: বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-১০, সাধারণ বিজ্ঞান-২৫ এবং সাধারণ জ্ঞান-২৫ অর্থাৎ সর্বমোট ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
৮. এসএসসি ও এইচএসসি (সমমান) পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ৪ গুণিতক = ২০ নম্বর (সর্বোচ্চ); এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ৬ গুণিতক = ৩০ নম্বর (সর্বোচ্চ); MCQ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা = ১০০ নম্বর, সর্বমোট = (২০+৩০+১০০) = ১৫০ নম্বর।
৯. লিখিত পরীক্ষায় ৪০ বা তদুর্ধ্ব নম্বর প্রাপ্তগণ উত্তীর্ণ মর্মে বিবেচিত হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে মেধা তালিকার ভিত্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং অবশিষ্ট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নির্ধারিত আসনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
১০. সরকারি নার্সিং কলেজ/ইনস্টিটিউট এ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং সন্তানের সন্তানদের জন্য মোট আসনের ২% সংরক্ষিত থাকবে। অবশিষ্ট ৯৮% আসনের মধ্যে ৬০% প্রার্থী জাতীয় মেধা কোটা এবং ৪০% প্রার্থী জেলা কোটায় নির্বাচন করা হবে।
১১. মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সনদের স্মারক নম্বর/সনদ নম্বর ও তারিখ অনলাইন আবেদনে অবশ্যিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে।
১২. নির্বাচিত প্রার্থীদের দেয়া তথ্য অসম্পূর্ণ অথবা ভুল প্রমাণিত হলে তার ভর্তি বাতিল মর্মে গণ্য হবে।
Discussion about this post