হার্টবিট ডেস্ক
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালের এনডাউমেন্ট ফান্ডে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের অঙ্গীকার করেছে দেশের বৃহত্তম ব্যবসায়িক শিল্পগোষ্ঠী সামিট গ্রুপ। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় সাত কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান, গ্রুপের পরিচালক তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খান ও কন্যা আজিজা আজিজ খান হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এ অনুদানের কথা জানান। এ সময় তারা হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক ডায়রিয়া রোগীর জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সম্পর্কে অবহিত হন।
আইসিডিডিআর,বি জানিয়েছে, কোনো স্থানীয় ব্যক্তির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে এটি এ পর্যন্ত সর্ববৃহৎ ব্যক্তিগত অনুদানের অঙ্গীকার। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ তাদের অবহিত করেন যে, হাসপাতালটি বর্তমানে রেকর্ড-সংখ্যক রোগীকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসা দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, চলমান বৈশ্বিক আর্থিক অস্থিরতা আইসিডিডিআর,বির দুটি হাসপাতাল পরিচালনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, আর সেকারণে একটি টেকসই ব্যবস্থা অপরিহার্য।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদ আজিজ খান সামিট করপোরেশন থেকে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার এবং আরো পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ তহবিল তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘আঞ্জুমান এবং আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ থেকে মোট এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের এনডাউমেন্ট ফান্ডে অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, আমি ও আমার পরিবারের জন্য আইসিডিডিআর,বির এ মানবিক কাজে সহায়তা করার সুযোগ অতি সম্মানের। আমরা বিনীত সেইসব গবেষণার সহযোগী হতে পেরে, যার মাধ্যমে লক্ষ-কোটি শিশুদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। আইসিডিডিআর,বির ড. তাহমিদ আহমেদ, ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং অনন্যারা, বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছে। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদযাপনে এ বিশ্বসেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করছি।
এ সময় ড. তাহমিদ আহমেদ সামিট গ্রুপের মুহম্মদ আজিজ খান ও তার স্ত্রীসহ সামিট করপোরেশনের অনুদানের অঙ্গীকারের প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুহম্মদ আজিজ খান ও তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খানের এক মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আমাদের মুগ্ধ করেছে, যা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে উৎসাহ যোগাবে। আমরা সামিট করপোরেশন এবং জনাব আজিজ খান ও আঞ্জুমান আজিজ খানের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
তাহমিদ আহমেদ বলেন, আমরা হাসপাতাল এনডাউমেন্ট ফান্ডে বাড়াতে নিজেদের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, যাতে এটি থেকে প্রাপ্ত উপার্জন দিয়ে আমাদের হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করাকে টেকসই করা যায়। আমি আশা করি, আরো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারা আমাদের এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবেন।
Discussion about this post