হার্টবিট ডেস্ক
মুখের বা নিশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য অনেকসময়ই আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেকে আবার মুখের ওপর একথা বলেও ফেলেন। তখন খুবই হীনমন্যতায় ভুগতে হয়। সাধারণত খাদ্যাভ্যাসে গন্ডগোল, হজমে সমস্যা, লিভারের সমস্যা প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। এ ছাড়া বিশেষ রোগের রোগের জন্যও মুখে ও নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে।
মুখ বা নিশ্বাস থেকে দুর্গন্ধ বার হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হ্যালিটোসিস’। যদি রক্তে শর্করার মাত্রা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয় এবং তার সঙ্গে এই সমস্যাগুলি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই নিশ্বাস দুর্গন্ধজনিত সমস্যা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার মতোউপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলিকে ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’-ও বলা হয়ে থাকে। রক্তে ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবিটিক কিটোঅ্যাসিডোসিসের সৃষ্টি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে শরীর শর্করা বিপাকের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করতে না পারে না। ফলে শরীরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা শুরু করে। এর ফলে শরীরে ‘কিটোন ব়ডি’ তৈরি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫০ থেকে ৩০০-র বেশি হলে হলে এই ধরনের সমস্যাগুলি জন্ম নেয়।
শরীরে কিটোন আছে কি না তা জানতে রোগীর প্রস্রাব পরীক্ষা করাতে হয়। এই ‘হ্যালিটোসিস’ এবং ‘ডায়াবিটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’ ডা়য়াবিটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে প্রস্রাব এবং দাঁতের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা উচিত।
Discussion about this post