হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্বের স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস জানিয়েছেন, আগামী ১৫ মার্চের পর থেকে ওই সপ্তাহের যে কোনও দিন জানা যাবে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি কোথা থেকে এবং কীভাবে ছড়িয়েছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরবর্তী ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে থাবা বসিয়েছে অদৃশ্য শত্রু। লণ্ডভণ্ড হয়েছে গোটা বিশ্বেরই জনজীবন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ। আর করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ কোটি ৮০ লাখের বেশি।
সংস্থার সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছেন, ‘আমি জানি, অনেক সদস্য দেশই সার্স-কভ-২ ভাইরাসের উৎস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত গবেষণার প্রতিবেদন জানতে ভীষণ আগ্রহী। আমি নিজেও ভীষণ উৎসুক। আশা করছি শিগগিরই সেই অপেক্ষার আবসান ঘটবে।’তিনি বলেন, দলটি চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করছে। যা বুঝতে পারছি, সেগুলো ১৫ মার্চের সপ্তাহে একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, ‘বাকিটা নিশ্চিত যে, প্রতিবেদনগুলো প্রস্তুত হওয়ার পর আমরা বিশেষজ্ঞ দলকে সেগুলো প্রকাশের আগে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে শেয়ার করতে এবং অনুসন্ধানের সংক্ষিপ্তসার জানাতে বলব।’
নভেল করোনাভাইরাস প্রথমে শনাক্ত হওয়ার পরেই চীনের দিকে আঙুল তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ। শি জিনপিং-এর দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম দিকে করোনার উৎস সন্ধানে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দেশে ঢোকার আনুমতি না দিয়ে সেই অভিযোগকে কার্যত সিলমোহর দিয়েছিল বেজিংয়ের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা।
অবশেষে প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার প্রায় এক বছর পর গত জানুয়ারিতে করোনাভাইরাসের উৎসের সন্ধানে চীনে গিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারী দল। তারা উহান সহ চিনে প্রায় চার সপ্তাহ কাটান এবং প্রথমদিকের সংক্রমণগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।
Discussion about this post