হার্টবিট ডেস্ক
পুরো মাথাভর্তি সাদা ব্যান্ডেজ। তাতে ডাক্তাররা লিখে দিয়েছেন ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না।’ হামলায় তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই চোখও। যে কারণে সাদা ব্যান্ডেজে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরোটাই। আর অস্ত্রোপচার করে মাথার খুলির অংশ তার পেটের চামড়ার নিচে সংরক্ষণ করে রেখেছেন চিকিৎসকরা। পুনরায় মাথায় প্রতিস্থাপন করতেই হাসপাতালে ইতিমধ্যে আনা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবকে।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১ মার্চ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ‘আকিবের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, শরীরের অবস্থার উপর নির্ভর করে অস্ত্রোপচারের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মাহাদি জে আকিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলজে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। এর পর চিকিৎসকরা তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। রিপোর্টগুলো হাতে পাওয়ার পরই এ বিষয়ে বিশেষ মেডিকেল টিম বসে মাথায় হাড় প্রতিস্থাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘আকিবকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চমেকে ভর্তি করা হয়েছে। তার কিছু পরীক্ষা চলছে। কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এখনো কিছু রিপোর্ট হাতে আসেনি। সবগুলো রিপোর্ট হাতে আসলে আমরা মাথার হাড় প্রতিস্থাপন বা অস্ত্রোপচারের জন্য তারিখ নির্ধারণ করবো।’
পেটের চামড়ার নিচে রাখা মাথার খুলি পুনরায় প্রতিস্থাপন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পেট থেকে বের করার আগে বলা যাচ্ছে না, খুলি কি অবস্থায় আছে। মাথায় অস্ত্রোপচারের আগে মাথার খুলি পেট থেকে বের করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় গুরুতর আহত হন চমেকের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। এতে তার মাথার হাড়, মস্তিষ্ক ও চোখ দুটি মারাত্মকভাবে জখম হয়। সেই থেকে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
Discussion about this post