হার্টবিট ডেস্ক
এইচআইভি সংক্রমণ মানেই জীবন-মরণ সমস্যা। এটি ধীরে ধীরে শরীরে বাড়তে থাকে এবং এক সময় এইডস রোগে রূপ নেয়। এইডস এমন একটি রোগ, যার এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি। এর মধ্যেই এইচআইভির নতুন রূপের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এই ভাইরাসের ক্রমাগত বিস্তার এবং আরও রূপ বদলের আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজরের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সম্প্রতি এইচআইভি ভাইরাসের এক নতুন প্রজাতি শনাক্ত করেছেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা। এটি অনেক বেশি সংক্রামক এবং ক্ষতিকারক বলে মনে করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগ ডেটা ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তিরা এইচআইভির এই মারাত্মক রূপে আক্রান্ত, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ হারে কমে যাচ্ছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এইচআইভির সাব-টাইপ-বি দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তিদের রক্তে ভাইরাসের লোড অনেকটা বেশি। শুধু তাই নয়, এইচআইভি ভাইরাসের এই রূপটি এইডসের ঝুঁকি তিনগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও এইচআইভির এই রূপ নতুন নয়। বেশ কয়েক বছর আগেই এই রূপের খোঁজ মিলেছে। তবে এইচআইভির চিকিৎসায় গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
প্রসঙ্গত, এইডস একটি সংক্রামক রোগ, যা এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে হয়। বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। এইচআইভিতে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশে। বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশের নিচে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ সংক্রমণ কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশে বর্তমানে সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার। গত ১ বছরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠী ১৮৬ জন (২৬ শতাংশ), রোহিঙ্গা ১৮৮ জন (২৬ শতাংশ), বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন (২০ শতাংশ), ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন (৮ শতাংশ), নারী যৌনকর্মী ১৭ জন (২ শতাংশ), সমকামী ৬৭ জন (৯ শতাংশ), পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন (৭ শতাংশ) ও ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন (২ শতাংশ)।
Discussion about this post