হার্টবিটডেস্ক
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মোলনুপিরাভির’ উৎপাদনের জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডেরে প্যারেন্ট কোম্পানি এমএসডির পক্ষে মেডিসিন প্যাটেন্ট পুল (এমপিপি) থেকে সাবলাইসেন্স পেয়েছে।
এমপিপি হলো জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা যেটি প্যাটেন্ট হোল্ডার কোম্পানির সাথে পাবলিক-হেলথ্ নিয়ন্ত্রিত লাইসেন্স এবং জেনেরিক নির্মাতাদের সাথে সাবলাইসেন্স নিয়ে আলোচনা করে কম দামে জেনেরিক ওষুধের বিক্রয়কে উৎসাহিত করে।
মলনুপিরাভির গত বছরের ৪ নভেম্বর ইউকে মেডিসিন্স অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটারি এজেন্সি (এমএইচআরএ) থেকে অনুমোদন পায় এবং একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএস-এফডিএ) থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন লাভ করে। করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এবং হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুসহ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে এবং এফডিএ অনুমোদিত কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকলে সেসব ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসায় মোলনুপিরাভির ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশসহ ১০৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে মোলনুপিরাভির যাতে সহজলভ্য হতে পারে সেজন্য মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এমএসডি (যা মার্ক এন্ড কো. ইনক-ইউএসএ এর একটি বাণিজ্যিক নাম) এবং এমপিপি যৌথভাবে এই সাবলাইসেন্স দিয়েছে।
ইনসেপ্টার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইনসেপ্টাকে এই সাবলাইসেন্স প্রদানের জন্য এমএসডি ও এমপিপিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘ইনসেপ্টা তার দুটি ফ্যাক্টরি থেকে এই ওষুধটি সরবরাহ করতে পারবে, যার একটি ইউকে এবং অন্যটি জার্মান কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত। আমরা প্রাথমিকভাবে এই ওষুধটির জন্য ৯০ মিলিয়ন ক্যাপসুল তৈরির ক্যাপাসিটি রেখেছি, তবে প্রয়োজন হলে আমরা উৎপাদন ক্ষমতা আরও অনেক বাড়াতে পারব। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এমএসডি থেকে প্রাপ্ত প্রযুক্তিগত তথ্যের সাহায্যে, আমরা এই ওষুধটির চাহিদা সব দেশে মেটাতে সক্ষম হব। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এই ধরনের ওষুধ স্বল্প খরচে উৎপাদনের জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারি এবং এই মহামারি থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টায় একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারি।’
আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ একটি স্বনামখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি যা ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, কোম্পানিটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের জনগণকে উন্নতমানের ওষুধ সরবরাহ করে। একটি শীর্ষস্থানীয় জেনেরিক প্রস্তুতকারক হিসাবে কোম্পানির ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী ৮০টি দেশে এর বিশ্বব্যাপী প্রসারণের সুবিধা দেওয়া হবে, যার ফলে এই কোভিড-১৯ এর মুখে খাওয়ার ওষুধের একটি ত্বরান্বিত, সময়োপযোগী ও সফল প্রবেশ এবং বাণিজ্যিকীকরণ হবে। সূত্র : বাসস।
Discussion about this post