হার্টবিট ডেস্ক
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষ এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছে। আজ (সোমবার) শনাক্তের হার আমরা দেখতে পেয়েছি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশে চলে এসেছে।
তিনি বলেন, অনেকেই ধারণা করছেন ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, দেশে এখনও ডেল্টার সংক্রমণ হচ্ছে, তবে ওমিক্রনও ছড়িয়েছে।
সংক্রমণের অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে ‘অশুভ ইঙ্গিত’ উল্লেখ করে খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সে তুলনায় অন্যান্য বিভাগে কম। ফলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি ১১ দফা নির্দেশনা মেনে না চললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১১ দফা মানাতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও সহযোগিতা দরকার।
সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক বিধি মেনে চলতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে দ্রুততার সঙ্গে টিকা নিতে হবে।
আমরা বয়স্ক ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজের টিকা দিচ্ছি। বুস্টার ডোজের বয়সসীমা ৫০ বছর করা হয়েছে। টিকা কার্যক্রমকে বেগবান করতে আমরা আরও পদক্ষেপ নিয়েছি।
কনফারেন্সে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, শুধু পরীক্ষা ও শনাক্ত করলেই চলবে না। রাজধানীসহ সারাদেশে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, যাদের এনআইডি বা জন্মসনদ নেই তারাও কেন্দ্রে এসে কাগজে নাম লিখে টিকা নিতে পারবেন। তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই এমন ১২-১৭ বছর বয়সীদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খুঁজে টিকার আওতায় আনা হবে।
Discussion about this post