হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশকে আরো ৯৬ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বাংলাদেশকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের টিকার অনুদান ২ কোটি ৮০ লাখ ছাড়াল।
শনিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া টিকার অনুদান ২ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার জানান, আরো টিকার ডোজ আসার পথে রয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে জনগণের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই ফাইজার টিকার অনুদান ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের ও আমাদের অংশীদারদের অভিবাদন জানাই এবং তাদের সাথেই আছি। কারণ আমরা যৌথভাবে আমাদের উভয় দেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ফাইজার টিকা অনুদান ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী শতকোটি টিকা ডোজ পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কভিড-১৯ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ। টিকা অনুদান দেওয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম প্রচারাভিযানে সহায়তা করার পাশাপাশি এই কার্যক্রমকে জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র টিকার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পদ্ধতিতে টিকাদান বিষয়ে সাত হাজারের বেশি বাংলাদেশি স্বাস্থ্যসেবা দানকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কভিডসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে ১২১ মিলিয়ন ডলার বা ১,০৪০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পেতে সহায়তা করার পাশাপাশি রোগের পরীক্ষা করা ও মনিটরিংয়ের সামর্থ্য জোরদার করেছে, রোগী ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো শক্তিশালী করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষিত করেছে এবং জনগণের মধ্যে সংক্রমণ থেকে নিজেদের আরো ভালোভাবে রক্ষা করা সংক্রান্ত জ্ঞান বাড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে চার বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করেছে। যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন পদ্ধতিতে কভিড টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ টিকার ন্যায়সংগত প্রবেশগম্যতা তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
Discussion about this post