হার্টবিটডেস্ক
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গত দু’দিনে হু হু করে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪জন ভর্তি রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।এদের মধ্যে ৩৫জন রোগী করোনায় আক্রান্ত।
চিকিৎসক জানান, তবে ডেল্টার ধরনের মতো নতুন আক্রান্তরা এতো গুরুতর নয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভাইরোলজি ডিপার্টমেন্টে সিকোয়েন্সিং মেশিন (Sequencing machine) না থাকার কারণে সরাসরি কনফার্ম করা যাচ্ছে না রোগীরা নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন যাবত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৯৪ জন ভর্তি রোগীর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, অথচ গত বছরের শেষের দিকে দুই থেকে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জিরো কখনো হয়নি। ওমিক্রনে আক্রান্তদের সামান্য জ্বর সর্দি কাশি, মাথা ব্যথা, গায়ে ব্যথা হয়ে থাকে, তবে ফুসফুসে তেমন আক্রান্ত থাকে না। বর্তমানে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের এই উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে। তারা ডেল্টার ভ্যারিয়েন্ট মতো এতো গুরুতর নয়।
তাদের ফুসফুসে ইনফেকশন নেই তবুও প্রয়োজনীয় মেশিন না থাকার কারণে কনফার্ম হওয়া যাচ্ছে না যে বর্তমানে ভর্তি রোগীরা নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন কী-না। তবে বর্তমানে মৃত্যুর সংখ্যা একেবারেই নেই।
তিনি আরো জানান, গত বছরের ঈদুল আযহার পরে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। অধিকাংশ রোগী ডেল্টায় আক্রান্ত ছিলেন। বিএসএমএমইউর সহযোগিতায় (collaborate) সিকোয়েন্সিং করা হয়। পরে সেখান থেকে জানা যায়, ঢামেকে ৯৮ শতাংশ রোগী ডেল্টায় আক্রান্ত ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, সিকোয়েন্সিং মেশিন ঢামেকের ভাইরোলজি ডিপার্টমেন্টের নেই। তাছাড়া করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলেও মৃত্যুর সংখ্যা বলতে গেলে নেই।
Discussion about this post