ডা. ফারজানা দীবা
কিশোরী বয়সে শরীর ও মন দুটোরই পরিবর্তন হয়। এ সময় স্বাস্থ্যের ঠিকমতো যত্ন না নিলে স্থূলতা, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই কিশোরীর খাদ্যতালিকা হতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ।
দৈনন্দিন খাবার আসলে সুষম ও সহজপাচ্য খাবার হওয়া উচিত। আমরা যেটি দেখি যে সকালবেলা হয়তো মেয়েটি খেল বা খেল না, স্কুলে গিয়ে একটি বার্গার খেয়ে ফেলল। অথবা কোমল পানীয় খাচ্ছে, আইসক্রিম খাচ্ছে। অথচ অনেকক্ষণ পেট খালি রাখার পর এটি খেয়ে যেমন হাইপার এসিডিটি হচ্ছে, সেইসঙ্গে হঠাৎ করে এত ক্যালরি খেয়ে কিন্তু ওজনটাও বেড়ে যাচ্ছে।
তাই আমরা বলব, কোনো বেলার খাবারটা বাদ দেওয়া যাবে না। তবে খাবারগুলো হতে হবে পরিমিত ও সুষম। বাসায় তৈরি খাবার হলে সবচেয়ে ভালো হয়। ওরা শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খাবে, সেইসঙ্গে ছোট মাছ, বড় মাছ খাবে। লাল মাংস এড়িয়ে গিয়ে মুরগি বা বড় মাছ খেতে পারে। প্রতিদিন ডিম খাবে, এক গ্লাস দুধ খাবে।
আর যেগুলো এড়িয়ে যাবে, সেগুলোর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, আইসক্রিম ইত্যাদি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফার্টিলিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক
Discussion about this post