ডা. কানিজ সৈয়দা
বড়দের মতো শিশুদেরও দাঁতের যত্ন করাটা জরুরি। শিশুর জন্মের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে দাঁত ওঠা শুরু হয়, যেটাকে আমরা দুধদাঁত বলে থাকি।
বাচ্চার দাঁত ওঠে ছয় মাস বয়স থেকে। প্রথম দাঁত যেটাকে বলে। দুধদাঁত বলা হয়। অনেকে দুধদাঁত সম্পর্কে ভালো জানে না, খুব একটা গুরুত্ব দেয় না—এ দাঁতটা তো একসময় পড়ে যাবে, সুতরাং এটার যত্ন নেওয়ার কোনও দরকার নেই। কিন্তু দুধদাঁতের ওপর নির্ভর করে স্থায়ী দাঁত। দুধদাঁতকে ইংরেজিতে বলা স্পেস হোল্ডার। দুধদাঁতের যে অবস্থান, সেখানে আপনার পারমানেন্ট দাঁতগুলো আসছে। দুধদাঁতের যদি যত্ন না নেওয়া হয়, পরবর্তীতে পারমানেন্ট দাঁতগুলোতেও দেখা যায় অ্যাফেক্ট পড়ছে।
একদম যখন ছোট বাচ্চা, তখনও দাঁত ওঠেনি, তখন ওরাল ক্যাভিটি, মানে মুখের কীভাবে যত্ন নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে একদম নরম সুতির কাপড় বা কোনও গজ, সেটাকে ভিজিয়ে বাচ্চার মুখটাকে দুধ খাওয়ার পরে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তার পর ছয় মাস যখন বয়স, তখন তো ছোট বাচ্চা ব্রাশ করতে পারবে না।
তখনও কাপড় ভিজিয়ে দাঁতগুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে। মোটামুটি এক বছর বয়স পর্যন্ত এ ভাবে মেইনটেইন করতে হবে এবং বাচ্চাকে কুলি করা শেখাতে হবে। এক বছর যখন বয়স হবে, তখন ছোট নরম ব্রাশ দিয়ে মা-বাবাকে পরিষ্কার করতে হবে, কিন্তু পেস্ট দিয়ে নয়। এবং আরেকটু যখন বড় হবে, তখন বাচ্চাদের পেস্ট যেগুলো, আপনারা দেখেছেন যে বাচ্চারা পেস্ট খেয়ে ফেলে। এ ক্ষেত্রে সেফ পেস্ট, যেগুলো বাচ্চাদের জন্য তৈরি হয়েছে, সেই পেস্টগুলো দিয়ে ওদের ব্রাশ করতে হবে। দুই বছরের বাচ্চা যেহেতু খুবই ছোট, ও নিজে থেকে ব্রাশ করতে পারবে না, তখনও বাবা-মাকে ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে। আস্তে আস্তে দাঁত ব্রাশিংয়ের অভ্যাস শুরু করতে হবে।
Discussion about this post