হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশর প্রতি ১০০ মানুষের মধ্যে ১৯ জন দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। আর গত ২০ বছরে ত্রিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধত্বের হার কমেছে ৩৫ শতাংশ মানুষের।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী অন্ধত্ব জরিপ-২০২০-এর ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
২০০০ সাল থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলায় এই জরিপ করা হয়েছে। এজন্য ৩৬০টি ক্লাস্টার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে আর জরিপে অংশ নিয়েছেন ১৮ হাজার ৮১০ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই জরিপ পরিচালনা করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইপিআরবির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুর রহমান।
জরিপের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বিশ বছরে বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার শতকরা ৩৫ ভাগ কমেছে। বাংলাদেশে অন্ধত্বের প্রধান কারণ চিকিৎসার অভাবে চোখে ছানি পড়া। এছাড়া ডায়াবেটিসজনিত রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা এবং বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন অন্ধত্বের প্রধান কারণ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ২০০০ সালেও অন্ধত্ব নিয়ে একটি জরিপ চালানো হয়। সে সময় সারাদেশে চোখের ছানিজনিত অন্ধ ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ছয় লাখ ৫০ হাজার। ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী ছানিজনিত অন্ধত্বের শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার জন।
সিআইপিআরবির হেলথ সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের পরিচালক ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অন্ধত্বের হার কমার তথ্যটি পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে সার্ভে করতে হলে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয়। আমাদের হিসাব ছিল জরিপে ১৮ হাজারের কাছাকাছি মানুষের অংশগ্রহণ হলেই চলতো। আমরা কিছু লোক বেশি রেখেছি। ১৮ হাজার বেশি মানুষের ওপর করা জরিপকে ভিত্তি ধরে জাতীয় পর্যায়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার কমেছে এটা খুবই ভালো খবর। এই অর্জন এমনি এমনি আসেনি, এজন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে।
Discussion about this post