হার্টবিট ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। শনিবার দেশটিতে নতুন করে ২০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে একদিনে দুই শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলো।
দেশের ৫০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। জনপ্রিয় অকল্যান্ড শহরে নতুন করে ২শ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর থেকে প্রায় তিন মাস ধরে ওই শহরে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।
সোমবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। এর মধ্যেই নতুন করে সংক্রমণের রেকর্ড হলো।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, গ্রীষ্মকালীন ও বড়দিনের ছুটিতে অকল্যান্ডের বাসিন্দারা
যেন দক্ষিণ গোলার্ধে ছুটি কাটাতে পারেন সেটাই চান তিনি।
লেবার পার্টির জাতীয় সমাবেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এসব ছুটিতে অকল্যান্ডের লোকজনকে বিচ্ছিন্ন রাখব না। আমরা এমনটা করতে পারি না।
এদিকে, এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবারের নতুন সংক্রমণ লোকজনকে এটা মনে করিয়ে দেবে যে, ভ্যাকসিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আমাদের ভ্যাকসিন নিতে হবে।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিউজিল্যান্ডে ১২ বছর বা তার বেশি ৭৮ শতাংশ মানুষ এরই মধ্যে ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে শুক্রবার পর্যন্ত ৮৯ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।
তবে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও এখনও অনেক দেশের চেয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের নিচে এবং মারা গেছে ৩১ জন। অন্য দেশের তুলনায় এই সংখ্যা খুবই কম। অনেক দেশে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুও এর চেয়ে বেশি।
Discussion about this post