হার্টবিট ডেস্ক
৪০-এর পরই শরীর ভাঙতে শুরু করে আর মাঝ বয়সে এসে কোন ব্যায়াম করতে হবে সেটাও বুঝতে পারেন না অনেকে। আবার অনেকেরই এ বয়সে এসে ব্যায়ামে অনীহা দেখা দেয়। তবে সহজ কিছু ব্যায়াম আছে যা ৪০- ৫০ বছর বয়সে করতে পারেন অনায়াসে।
ওঠা-বসা
মাঝবয়সে শরীরচর্চায় সাধারণ ওঠা-বসা করাটা খুবই উপকার। দু’হাত সামনে শূন্যের ওপর রেখে ১০-১৫ বার ওঠা-বসা করলেও জয়েন্টের বেশ উপকার হয়। কোমর ও হাঁটুর জন্য এটি খুব উপকারী।
ডাম্বেল
অফিসগামী নারী-পুরুষদের বসে থাকতে থাকতে আর ভারী বস্তু ওঠানো-নামানো হয় না। তাই চল্লিশের পর ডাম্বেল ওঠা-নামা করলে শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতিটা পূরণ হবে। এটি পেশীর জোর বাড়ায় এবং বাড়তি মেদ ঝরায়। বুক ও পেটের পেশী গঠনেও এ ব্যায়াম কাজে আসে।
বুকডন
শরীরের ওপরের অংশ সুঠাম রাখার ক্ষেত্রে বুকডন উপকারী ব্যায়াম। এর জন্য কোনও যন্ত্রপাতিরও দরকার হয় না, তাই সহজেই এ ব্যায়াম করে শরীর সুঠাম রাখা যায়।
বডি রোল-আপ
সাধারণ শরীরচর্চার মধ্যে ফুল বডি রোল-আপ সহজ ও কার্যকর। টান হয়ে শুয়ে দু’হাত উপরে নিয়ে কোমর পর্যন্ত উঠে হাত দিয়ে পায়ের আগা ছুঁয়ে আবার শুয়ে পড়াকেই রোল-আপ বলে। বডি রোল-আপ শরীরকে ব্যথামুক্ত রাখে। স্পাইনের জন্যও এ ব্যায়াম উপকারী।
পায়ের ব্যায়াম
চিৎ হয়ে শুয়ে একটি পা ওপরে তুলে বাঁকা করে নিচে নামানোর পর আরেকটি পা একইভাবে করাকে ‘লেগ হামস্ট্রিং ব্রিজ’। এ ব্যায়াম কোমর থেকে নিচের অংশের জন্য উপকারী।
বার্ড ডগ
হাঁটু গেড়ে উবু হয়ে বসে বাঁ হাত ও ডান পা সোজা করে শূন্যে রেখে কিছুক্ষণ পর আবার ডান হাত ও বাম পা একইভাবে সোজা করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখাকে বলে ‘বার্ড ডগ’ ব্যায়াম। শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও কোমরের ব্যথা দূর করতে এটি কাজে আসে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Discussion about this post