হার্টবিট ডেস্ক
ভারতে সাম্প্রতিক নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। আর নতুন আতঙ্কের নাম ‘নিপা ভাইরাস’, মৃত্যুহার ৫০ শতাংশেরও বেশি!
নিপা ভাইরাসের প্রথম দেখা মেলে ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়াতে। তবে এবার কেরালায় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে এক যুবকের মৃত্যুর পরই ভারতে নিপার সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গবেষণা বলছে, কেরালায় ৪ বছরে ৩ গুণ বেড়েছে নিপার সংক্রমণ।
এখন নিপা নিয়ে আতঙ্ক যে অমূলক নয় তার প্রথম ও প্রধান কারণ, এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুহার ৫০ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কোনো ভ্যাকসিনের পরীক্ষাও হয়নি।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে নিপা ভাইরাসের থেকে অতিমারির ঝুঁকি কতখানি? এক্ষেত্রে বিবেচনা করে দেখতে হবে নিপা ভাইরাস কীভাবে সংক্রমিত হয় ও কীভাবে নিজের মিউটেশন ঘটায়। এখন নিপা হচ্ছে প্যারামিক্সোভাইরাস। অর্থাৎ এটা মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার জন্য আমাদের সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি হয়।
প্রধানত সংক্রামিত বাদুড় থেকে এর সংক্রমণ ছড়ায়। মলমূত্র, লালারস সহ বাদুড়ের শরীর নিঃসৃত যেকোনো পদার্থের মধ্যে এই ভাইরাস থাকতে পারে। তা থেকেই ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।
এখন বিশেষ করে ফলের রস থেকে এই ভাইরাস মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ফলের রসের সঙ্গে যদি বাদুড়ের মূত্র মিশে যায়, তবে সেই ফলের রস খেলে মানব শরীরেও সংক্রণ ঘটতে পারে। এপ্রসঙ্গে বলা যায়, খেজুর- তাল গাছে বাদুড় সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই তালের রসে মিশতে পারে বাদুড়ের মূত্র।
Discussion about this post