উম্মে শায়লা রুমকি
অনেকে মোটা হওয়াকেই সুস্বাস্থ্যের একমাত্র চাবিকাঠি মনে করেন। এটা একেবারেই ভুল ধারণা।
অনেক মায়ের অভিযোগ, সন্তান ফ্রাইড রাইস ছাড়া কিছুই খায় না। আর তাঁরাও সময় বাঁচাতে ফ্রাইড রাইস তৈরি করে ফ্রিজে রাখেন। কেউবা টিফিনের জন্য চিকেন, কিমা, সসেজ, নাগেট ফ্রিজে রাখেন এবং সকালে তা বাসায় ফ্রাই করে দিয়ে ভাবেন, টিফিন তো ঘরের তৈরি!
আসলেই আমরা ঘরের খাবার বলতে যে স্বাস্থ্যকর খাবারকে বুঝি, আজকের দিনে এই ফ্রোজেন ফুড কি সেই খাবার?
স্কুলে, বাজারে, রেস্টুরেন্টে যত শিশু দেখা যায়, তার মধ্যে বেশির ভাগ শিশু অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছে। তাদের খেলার জায়গা নেই, স্কুল ছাড়া বন্ধুদের বাড়িতে যাওয়ার উপায় নেই, মা-বাবার ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে তাদের একাই
কতে হয়। তাই শিশুদের সময় কাটে খাওয়া, পড়া, মোবাইল ফোনে গেম খেলা আর ঘুমের মধ্যে। এই জীবনচক্র শিশুদের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যে
পরিমাণ ওজন থাকা দরকার, তার চেয়ে বেশি থাকলে তা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। আজকাল অনেক মেয়েশিশুর অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে, শিশুদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে, কোনো রকম খেলাধুলার ব্যবস্থা না থাকায় শরীরের চর্বি পোড়ানোর উপায় নেই। বর্ধিত ওজন অনেক সময় বন্ধুদের কাছে নিজেকে হতাশায় ফেলে দেয়।
তাই মা হিসেবে আপনার প্রথম দায়িত্ব সন্তানকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া এবং নিয়মিত অন্তত এক ঘণ্টা মাঠে বা পার্কে নিয়ে খেলার অভ্যাস করানো। সাইকেল বা নিয়মিত হাঁটাও হতে পারে আপনার সন্তানের সঠিক ব্যায়াম। বাবাদের উচিত মায়েদের কাজে সহযোগিতা করা।
লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
Discussion about this post