হার্টবিট ডেস্ক
করোনায় দীর্ঘ ছুটির পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশের সব মেডিকেল কলেজে ১ম, ২য় ও ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। ভাইরাসটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু স্বাভাবিক হওয়ায়য় শিগগিরই মেডিকেলের অন্যান্য বর্ষের ক্লাস শুরু হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে মেডিভয়েসের কথা হয়। তাদের সবার সাধারণ দাবি, মেডিকেল শিক্ষা বাঁচিয়ে রাখতে অনতিবিলম্বে তাদের ক্লাস খুলে দেওয়া হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম মেডিকলে কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘করোনায় দেশে মৃত্যুর হারও অনেক কমে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়। মেডিকেলের ক্লাস চলছে দেড় মাস ধরে। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।’
কবে নাগাদ বাকিদের ক্লাস খুলে দেওয়া হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস চালু করা নিয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত চেয়ে গত ১০ দিন আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কমিটির মতামত পেলেই খুলে দেওয়া হবে। তাঁদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মতামত আসেনি। তাঁরা আমাদের আনুষ্ঠানিক মতামত দেবেন। এর পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবো।’
কারিগরি কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর বাকিদের ক্লাস খুলে দেওয়া নির্ভর করছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে টেকনিক্যাল উপকমিটির সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা বলেন, ‘সব কিছু তো ভালোই যাচ্ছে। এখন বিষয়টি টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তারা একবার বসলেই সিদ্ধান্ত চলে আসবে। আমার মনে হয়, খুব তাড়াতাড়িই এটি হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন স্যার গতকালও (২৪ অক্টোবর) বিষয়টি নজরে এনেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়াও টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে কথা বলে খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। আমিসহ অনেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা সশরীরের ক্লাস নিতে প্রস্তুত।’
Discussion about this post