হার্টবিট ডেস্ক
শূন্য থেকেও পুনরায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন।
শনিবার (২৩ অক্টোবর)গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার পরও, এমনকি সংক্রমণ শূন্য হওয়ার পরও পুনরায় বেড়েছে। বিশেষ করে করোনার নতুন যে ভেরিয়েন্ট এসেছে, সেটার কারণে সংক্রমণ বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং ভুটানে সংক্রমণ একেবারে শূন্যের কোঠায় চলে গিয়েছিল। সেসব দেশে পুনরায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েছে। সুতরাং আমাদের এখানেও সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে খুব শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এখনও নজরদারি ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু সেটাকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে।
তিনিআরও বলেন, প্রথমত, এখনও দেশে সামান্য কিছু সংখ্যক সংক্রমণ হচ্ছে, যেখানেই সংক্রমণ ধরা পড়বে, তারা যেন চিকিৎসার আওতায় থাকে। দ্বিতীয়ত, শনাক্ত ব্যক্তিরা যেন আইসোলেটেড থাকে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে সহযোগিতা করতে হবে। তৃতীয়ত, সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আইইডিসিআর উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে দ্রুত সবাইকে টিকা নিয়ে নিতে হবে। টিকা নিলে সংক্রমণ না ঠেকানো গেলেও মৃত্যু কমে যাবে। সারা পৃথিবীর সবাই যখন পর্যাপ্ত টিকা পাবে তখন সংক্রমণ আর মারাত্মক প্রাণঘাতী হবে না। অন্যান্য মৌসুমি শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতই তখন করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা পাওয়ার বিষয়ে চরম বৈষম্য বিদ্যমান। উন্নত দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি টিকার অর্ডার দিয়ে রেখেছে। অনুন্নত এবং জনবহুল দেশগুলো সে তুলনায় টিকা কম পাচ্ছে। এ বছরের শেষে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের শতকরা ৪০ শতাংশ মানুষ টিকা পাওয়ার কথা, আমরা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে রয়েছি, কিন্তু অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশ পিছিয়ে রয়েছে। সেসব দেশে শতকরা ১০ ভাগ লোকও টিকা পায়নি, যার বড় একটা অংশ হচ্ছে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য। ফলে প্রত্যেকটা দেশই করোনার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরাও অবশ্যই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।
Discussion about this post