হার্টবিট ডেস্ক
আজ ১৭ অক্টোবর ‘বিশ্ব ট্রমা দিবস’। সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা তৈরিতে এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশের কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে পালিত হয় দিবসটি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টাইমলি রেসপন্স সেভ’স লাইভ’। ট্রমা বলতে শরীরে সৃষ্ট কোনো আঘাত ও মানসিকভাবে বিপর্যয়কে বোঝায়। সড়ক দুর্ঘটনা, আগুন লাগা, পুড়ে যাওয়া, গাছ বা উঁচু ভবন থেকে পরে আঘাত পাওয়া, নারীদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ, শিশু ও বৃদ্ধসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপরাধ, এসব নানাবিধ কারণে ট্রমা হতে পারে। ট্রমার সবচেয়ে বড় কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা। অনেক আঘাত অস্থায়ী বা স্থায়ী অক্ষমতা সৃষ্টি করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয় এবং আহত হয় পাঁচ কোটির বেশি মানুষ। বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যত মানুষ নিহত হয়, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়; ১০ গুণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এবং ৩০ গুণ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়।
তাই দুর্ঘটনার পর শারীরিক ট্রমা বা অন্য কোনো বড় ধাক্কায় মানসিকভাবে ট্রমার শিকার হলে যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। এসব চিন্তা করে প্রতিবছরের মতো এবারও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্ব ট্রমা দিবস পালন করছে।
Discussion about this post