হার্টবিট ডেস্ক
মানিকগঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এখন ভারত, পাকিস্তানসহ বহু দেশের থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে ।
মানিকগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পরীক্ষামূলকভাবে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২০ শিশুকে করোনার টিকা দেওয়ার আয়োজন করে। এর মাধ্যমে শুরু হলো দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে এই ভালো অবস্থানকে আমাদের সবার সহোযোগিতায় ধরে রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধে মুখে মাস্ক ব্যবহার করাসহ আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ও ফাইজারের টিকা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ টিকাটি আমেরিকা, ইউরোপসহ অনেক দেশেই দেওয়া হচ্ছে। টিকাটি অনেক বেশি নিরাপদ। আমরা চাই, আমাদের শিশুরাও নিরাপদে থাকুক। তারা স্কুলে আসছে, তারা যেন করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকে। এজন্য ফাইজারের টিকাটি আমাদের শিশুদের দিয়ে ট্রায়াল করা হলো। অল্পদিনের মধ্যেই সারা দেশে ফাইজারের টিকাটি আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, যে সময় বিশ্বের বহু দেশ টিকা না পেয়ে হাহাকার করছে, সে সময়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে অন্তত ছয় কোটি মানুষকে ইতোমধ্যে ভ্যাক্সিন প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজ, সিরাম ইনস্টিটিউট বা চীনের সিনোফার্মের টিকাসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে ইতোমধ্যেই অন্তত ২৪ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসেই পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা দেশে আসছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকেও টিকা আসা শুরু হয়েছে। বর্তমানে টিকাদানে বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এ বি এম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ, মানিকগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনসহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্য খাত করোনা প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন করোনাকে আর উপরের দিকে উঠতে না দিতে দেশের সবার সম্মিলিত সহযোগিতা লাগবে। সবাই মিলে আরেকটু সচেতনতা বজায় রাখতে পারলে করোনা আরও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
Discussion about this post