হার্টবিট ডেস্ক
মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে টিকা কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আরও পাঁচটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জন্সে (বিসিপিএস) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানানো হয়।
টিকা কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অধিদপ্তরের নতুন কার্যক্রমসমূহ
সাধারণ নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশন এর বয়সসীমা ২৫ বছর থেকে ১৮ বছরে নামিয়ে আনা।
১২-১৭ বৎসরের স্কুল শিক্ষার্থীদের কোডিড-১৯ প্রতিরোধী ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধনের সনদ মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিবন্ধনের ব্যবস্থা গ্রহণ।
পর্যায়ক্রমে দেশে মোট ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ জনগণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা। বর্তমানে সারাদেশে ২৮০০ কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধিকরণ।
২২ জেলায় ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে সক্ষমতা সাপেক্ষে অন্যান্য জেলায়ও সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল পর্যন্ত ৫৪,১১,৯২,৪৬ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে আরও বেশি সংখ্যক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা আবশ্যক।
এতে আরও জানানো হয়, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারাবিশ্বের ন্যায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারও জনগণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও দেশের আপামর জনসাধারণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর।
Discussion about this post