হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ইউনেস্কো পরিচালিত ‘সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ প্রকল্প আওতার অধীনে মানসিক সহায়তা পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। এই যৌথ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো- শিক্ষার্থীদের হতাশা ও মানসিক চাপ মোকাবিলা।
সোমবার (৭ জুলাই) জরিপভিত্তিক গবেষণা—‘র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেনন্ট’ প্রতিবেদনের সঠিকতা যাচাইয়ে ইউজিসি কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা জানানো হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
এর আগে জুলাই-আগস্ট চেতনাকে সামনে রেখে এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাহিদা ও সমস্যাবলির বাস্তব চিত্র নিরূপণে জরিপভিত্তিক গবেষণা—‘র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ পরিচালিত হয়, যা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের অভিঘাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে যে মানসিক হতাশা তৈরি হয়েছে, তা তাদের শিক্ষাজীবন ও সামাজিক আচরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ থেকে উত্তরণেই আমাদের এই উদ্যোগ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র গঠন করা জরুরি উল্লেখ করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব। বলেন, ‘এটি শিক্ষার্থীদের আচরণগত বিকাশ ও চাপ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।’
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটির অধ্যাপক মো. মাহমুদুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল ‘র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন ইউজিসির ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোছা. জেসমিন পারভীন।
এ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেজাবিন হক, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সৈয়দ তানভীর রহমানসহ দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইউজিসি এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা।
Discussion about this post