হার্টবিট ডেস্ক
পূর্বানুমতি ছাড়া চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না মর্মে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদনের ১১ নম্বর সুপারিশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ‘সেবাগ্রহীতার অভিযোগ নিষ্পত্তি নিশ্চিতে একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।’ চিকিৎসা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষায় মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স ও দুই পেশাগত অবহেলা বিষয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
‘পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। শুধু অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য হবে। তবে অভিযোগ দাখিলের ৯০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে’– বলেও উল্লেখ করা হয় সুপারিশে।
গতকাল সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের সদস্যরা।
প্রতিবেদনের অন্যান্য সুপারিশগুলোর মধ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে বিনামূল্যে এবং স্বতন্ত্র হেলথ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও সরকারি হাসপাতালে জনবল নিয়োগ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বৃদ্ধি, রোগীদের বিদেশমুখিতা কমাতে নতুন হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করেছে কমিশন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, শিশু নিউরো বিজ্ঞান বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নাইলা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্যখাত সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ আহসানুর রহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমায়ের আফিফ।
Discussion about this post