হার্টবিট ডেস্ক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে যুক্ত হয়েছে মাথায় অস্ত্রোপচারের সর্বাধুনিক যন্ত্র ‘ক্র্যানিওটমি’। ফলে এখন থেকে মস্তিষ্কের হাঁড়ের অস্ত্রোপচার কাজ করা যাবে মাত্র ১০ মিনিটেই। এতদিন সনাতন পদ্ধতিতে নিউরো সার্জারি বিভাগে এ কাজ করতে হত। যা সময় লাগতো এক ঘণ্টারও বেশি। আধুনিক এ যন্ত্র স্থাপনের ফলে এখন থেকে সহজে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোগীদের অস্ত্রোপচার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
সূত্র মতে জানা যায়, চলতি বছরে ৩ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ওষুধাগার (সিএমএসডি) থেকে পাঠানো হয় মস্তিষ্কের হাঁড় কাটার আধুনিক যন্ত্র ‘ক্র্যানিওটমি’ ইলিকেট্রিক্যাল ড্রিলার। সুইজারল্যান্ড থেকে আনা এ মেশিনটির ক্রয় করা হয় প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকায়। যা সরবরাহ করে ঢাকার নিউটেক জিটি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। গতকাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা এসে তা নিউরো সার্জারি বিভাগের অস্ত্রোপচার কক্ষে স্থাপন করেন। যা দিয়ে আজ থেকে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. রবিউল করিম বলেন, ‘মেশিনটি স্থাপনের কাজ শেষ। আজ রবিবার (২৩ জুলাই) একটি সার্জারির মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে মেশিনটির। পরবর্তী আরও দুই দিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে কার্যক্রম চালানো হবে। নতুন মডেল ও আধুনিক যন্ত্র হওয়ার ফলে আশা করছি এখন থেকে মস্তিস্কের অস্ত্রোপচার করতে অধিক সময়ের আর প্রয়োজন হবে না। নতুন আধুনিক যন্ত্র ‘ক্র্যানিওটমি’র মাধ্যমে মাত্র দশ মিনিটেই মস্তিষ্কের হাঁড় কাটা সম্ভব হবে। এসব যন্ত্র বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ব্যবহার হয়ে থাকে। আধুনিক প্রযুক্তির এ যন্ত্র দ্বারা এখন থেকে চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগেও ব্যবহারের ফলে রোগীদের সেবা পাওয়া আরও সহজ হয়ে ওঠবে।’
চিকিৎসকরা জানান, ‘ক্র্যানিওটমি’ যন্ত্র দ্বারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয়ে আসছে। দেশের ঢাকার দুটি সরকারি হাসপাতালে এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এ যন্ত্র ব্যবহার হলেও সরকারি হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম এ যন্ত্র স্থাপন করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র টার্শিয়ারি পর্যায়ের হাসপাতালের এই নিউরো সার্জারি বিভাগে টেকনাফ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত রোগীরা ভিড় করে থাকেন। কিন্তু মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারগুলোকে করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। কেননা অস্ত্রোপচারের যন্ত্রগুলো এখনো সনাতন পদ্ধতিতে চলে আসছে। যার কারণে রোগীদের অস্ত্রোপচারের সময় মাসের পর মাসও পার হয়ে যায়। এখন থেকে আধুনিক যন্ত্রটি স্থাপনের ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ত্রোপচার করতে পারবেন চিকিৎসকরা’।
Discussion about this post