হার্টবিট ডেস্ক
দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস’ পালিত হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে দিবসটি উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে একটি শোভাযাত্রা এবং শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘বাংলাদেশে ব্রেন টিউমার সার্জারি: সাফল্যের ৫২ বৎসর’ শীর্ষক এক কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গণসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের সভাপতি ও বিএসএমএমইউ’র নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিউরো সার্জনরা মানুষের জীবন বাঁচায়। বাংলাদেশের নিউরোসার্জনরা বিশ্বমানের। তারা বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে সেবা দিতে সক্ষম। চক্ষু অপারেশনের আগে রোগীরা আমাকে দেখে না। অপারেশনের পর রোগী যখন আমাকে দেখে হাসি দেন সেটিই আমার জন্য দোয়া। রোগীর মুখের হাসির চাইতে আনন্দের আর কিছু নেই।আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব শ্রেণির মানুষ সেবা নেন। এখানে প্রধান বিচারপতি চিকিৎসা নেন, স্পিকারের স্বামী চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত এমপি, মন্ত্রীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানে চিকিৎসা সেবা পেয়ে সবাই সন্তুষ্টও।’
উপাচার্য আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর খুলনা থেকে রোগী এসে সেবা নিয়ে বিকালে বাড়ি চলে যান। আগামীতে নিউরোসার্জারি বিভাগে গামা নাইফ সার্জারি চালু করতে চাই। সবাই সহযোগিতা করলে ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট হেলথ ব্যবস্থা চালু করতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ববিএসএমএমইউ’র সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নিউরো সার্জন ডা. ইসমে আজম জিকো, নিনস্’র নিউরো সার্জন ডা. জিয়াউদ্দিন ব্রেন টিউমারের ওপর পৃথক তিনটি পেপার প্রেজেন্টেশন করেন।
সেমিনারে বলা হয়, উন্নত বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মাঝে ১৫ জন মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। তবে তৃতীয় বিশ্বের প্রতি এক লাখ মানুষের মাঝে চার জন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন ধরণের রেডিয়েশনসহ বিভিন্ন কারণে ব্রেন টিউমার হতে পারে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, তরুণ প্রজন্মের নিউরো সার্জনরাই সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নেতৃত্বে দেবে। একই সঙ্গে তরুণ নিউরো সার্জনরা অনেক দক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা দিতে পারদর্শী। আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর ব্রেন টিউমার অপারেশনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন– বিশিষ্ট নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফজলে এলাহী মিলাদ বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের সাইন্টিফিক সেক্রেটারি ডা. মোতাশিমুল হাসান শিপলু, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ ফরিদ রায়হানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিউরোসার্জনস ও রেসিডেন্টরা।
Discussion about this post