হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ (গ্যাভি)।
গত মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশ সফররত গ্যাভি মিশনের সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়৷
গ্যাভির এমন সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। পাশাপাশি তারা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাশের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো, হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্যরা দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধি, টিকার প্রযুক্তি সরবরাহ করা, স্থানীয়ভাবে টিকা প্রস্তুতকরণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লোকবল সংকট নিরসন, তামাকের ব্যবহার কমাতে তামাকপণ্যের কর ও মূল্যবৃদ্ধি, এবং জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি রক্ষায় অবিলম্বে তামাক আইন সংশোধনের বিষয়গুলো সভায় তুলে ধরেন।
ফোরামের উপদেষ্টা আ স ম ফিরোজ বলেন, আশা করি আমরা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারব। বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। টিকাদানে বাংলাদেশের বড় এক সাফল্যের গল্প রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটির কাছাকাছি মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং বছরে দেশের প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের অতি দ্রুত কর বৃদ্ধি করে তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে হবে।
Discussion about this post