হার্টবিট ডেস্ক
হরমোন জনিত কারণে আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত নানা রকম পরিবর্তন হতে থাকে।যেমন- চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, ব্রণ কিংবা ওজন বৃদ্ধি,ঘন ঘন মেজাজ খারাপ হওয়া, ক্লান্তি ভাব ইত্যাদির কারণও হতে পারে শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকলে স্বাভাবিক কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি হয়। হরমোন আসলে এক ধরনের জৈব-রাসায়নিক পদার্থ। শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হরমোনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সহজ ৫টি অভ্যাস মেনে চললে হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকবে:
১) অয়েল পুলিং
শরীরের ভিতরে সমস্ত দূষিত পদার্থ টেনে বার করে এই অয়েল পুলিং পদ্ধতি। সঙ্গে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে বিপাকহার উন্নত হয়। যার প্রভাব পড়ে হরমোনের উপর।
২) দিনের শুরুতে রোদ পোহানো
ঘুম থেকে ওঠার সময়ে শরীরে কর্টিজ়ল হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে। এই হরমোনের ভারসাম্য রাখতে গেলে ঘুম থেকে উঠেই ফোন নয়, ১০ থেকে ১৫ মিনিট গায়ে রোদ লাগান।
৩) শরীরচর্চা
ঘুম থেকে উঠে খুব ভারী কিছু না হলেও হালকা স্ট্রেচ, ব্যায়াম বা হাঁটাহাটি করলে শরীরে সমস্ত প্রক্রিয়া আবার স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করতে শুরু করে। হজম, বিপাকহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিও সহজ হয়। তার প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে।
৪) চা, কফি বাদ
ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। এই অভ্যাস শুধু যে পেটের ক্ষতি করছে, তা নয়। হরমোনের হেরফেরের জন্যও দায়ী এই পানীয় দুটি।
৫) ঘুম থেকে ওঠার ঘণ্টা খানেক পর নাস্তা
ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়েই সোজা চলে যান খেতে। সকালের নাস্তা পেটে না পড়লে খবরের কাগজের পাতাটাও উল্টে দেখতে ইচ্ছে করে না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরকে প্রস্তুত না করে কোনও শক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। অন্তত পক্ষে ১ ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর খাবার খাওয়া শুরু করা যেতে পারে।
Discussion about this post