হার্টবিট ডেস্ক
কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। শীতও বাড়ছে, আর শীত মৌসুমে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।অসহনীয় এ রোগ দেখা দিলে রোগীর শ্বাসনালি সংকুচিত হয়, ফলে রোগী তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকেন।
অ্যাজমা বা হাঁপানির উপসর্গ:
* এ রোগ হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
* অতিরিক্ত কাশি থাকার কারণে বুকের মধ্যে দমবদ্ধ ভাব অনুভব হয়।
অনেক সময় বুকে বাঁশির মতো শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
* শ্বাসনালিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং তা সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে হাঁপানির টান বেড়ে যায়।
যেসব কারণে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে তা হলো:
• বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে গেলে
• রান্নার চুলার ধোঁয়া (কাঠ কিংবা অন্যান্য জ্বালানি পোড়ানোর কারণে)
• ঠাণ্ডাজনিত কারণে
• অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা
• কুয়াশা অথবা অতিরিক্ত শীতে ভ্রমণ করা ইত্যাদি।
যা করতে হবে:
• ধুলাবালি থেকে বাচতে রাস্তা ঘটে চলাচলের সমসয় মুখে মাস্ক ব্যবহার
• যেকোন প্রকার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলুন
• মশার কয়েলের ধোঁয়ায়ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে, নিরাপদ দূরত্বে থাকুন
• মশার স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন কারণ এটাও বেশ ক্ষতিকর।
• ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া যাবে না, খাবার ভালো করে গরম করে খান
• শীতের পোশাক রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন
• বাইরে গেলে অবশ্যই শীতের গরম কাপড় সঙ্গে রাখুন
• গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, বেগুন এসব খাবারে অনেকের অ্যালার্জি হয়, আর অ্যালার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট।
যদি খুব কষ্ট হয়, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
Discussion about this post