হার্টবিট ডেস্ক
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশেই দিবসটির সূচনা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পরিবর্তনমুখী পদক্ষেপ : প্রবেশগম্য ও সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে উদ্ভাবনের ভূমিকা’।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (বিবিএস) পরিচালিত এক হাউজ হোল্ড জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতার হার ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। ধরন অনুযায়ী মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ ধরনের প্রতিবন্ধিতা শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস, শারীরিক, মানসিক অসুস্থতাজনিত, দৃষ্টি, বাক প্রতিবন্দিতা, বুদ্ধি এবং শ্রবণ প্রতিবন্দিতা, সেরিব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম, বহুমাত্রিক এবং অন্য প্রতিবন্ধিতা।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি পালনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তর, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা ও দক্ষতাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হলে তাদের উপযুক্ত পরিচর্যা ও প্রশিক্ষিত করে তোলা একান্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ গুণের অধিকারী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সার্বিক সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্যই সরকার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এবং তাদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে অত্যন্ত আন্তরিক। আমি আশা করি, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণের পাশাপাশি তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের পথ সুগম করতে সংশ্লিষ্ট সবাই আরো বেশি আন্তরিক হবেন। তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানসিক বিকাশে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, দেশি-বিদেশি সংস্থা ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসারো আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি দেশের প্রতিবন্ধী জনগণের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণ, সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
Discussion about this post