হার্টবিট ডেস্ক
ছয় মাস মেয়াদি চিকিৎসাশাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে অবৈতনিক স্নাতকোত্তর (অনারারি) প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগামী ১ জানুয়ারী থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ছয় মাস মেয়াদি চিকিৎসাশাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে অবৈতনিক স্নাতকোত্তর অনারারী প্রশিক্ষণে মনোনয়নের জন্য এমবিবিএস বা বিডিএস পাস এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত বেসরকারি চিকিৎসকদের নিকট থেকে নিম্নলিখিত শর্ত সাপেক্ষে আবেদনের আহ্বান করা হয়েছে।’
আবেদন শুরুর তারিখ
আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরে ২০২২ অফিস চলাকালীন সময়ে হাসপাতালের অফিস কক্ষ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে সকল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পাসফোর্ট সাইজের দুই কপি ছবিসহ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।’
মৌখিক পরীক্ষা
১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা স্ব-স্ব বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় প্রার্থীকে সকল সার্টিফিকেটের মূল কপিসহ বোর্ডে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
যারা প্রশিক্ষণরত আছেন এবং স্ব-স্ব ইউনিটে প্রশিক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক, তাদেরকেও নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। তবে আবেদনপত্রের উপরে বিভাগ ও ইউনিটের নাম এবং প্রশিক্ষণ বর্ধিতকরণের আবেদন কথাটি লিখতে হবে। এ ছাড়া যারা জানুয়ারি ২০২৩ সালে এফসিপিএস প্রথম পর্ব পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন, তারাও নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্রে সুপারিশের কোনো প্রয়োজন নেই।
শর্তাবলি
১. প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে হাসপাতালের ক্যাশিয়ারের নিকট পাঁচশত টাকা জমা দিতে হবে (ফেরত যোগ্য)। তবে প্রশিক্ষণকালে কেউ অনুপস্থিত থাকলে প্রতি অনুপস্থিত দিনের জন্য বিধিমোতাবেক জরিমানা আদায় করা হবে।
২. এই প্রশিক্ষণ সার্বক্ষণিক হবে।
৩. বিভাগীয় বা ইউনিট প্রধানের পক্ষ হতে বিধি মোতাবেক যেখানে দায়িত্ব পালন করতে বলা হবে, সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪. নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে হবে এবং বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না।
৫. প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রশিক্ষণার্থীদের কোন রোগীকে ইনজুরি সার্টিফিকেট বা কোনো প্রকার মেডিকেল সার্টিফিকেট ইস্যু করতে পারবে না।
৬. প্রশিক্ষণার্থীদেরকে নিজ দায়িত্বে বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. প্রশিক্ষণার্থীর বিরুদ্ধে কোন ধরনের অনিয়ম, অগ্রহণযোগ্য কিংবা অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তার প্রশিক্ষণ বাতিলসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮. প্রশিক্ষণ শেষে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান বা ইউনিট প্রধান প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র প্রদান করবেন এবং এতে হাসপাতালের পরিচালক প্রতিস্বাক্ষর করবেন।
৯. প্রশিক্ষণকালীন সর্বোচ্চ বিধিমোতাবেক নৈমিত্তিক ছুটি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বিভাগীয় প্রধানের অনুমতিক্রমে ভোগ করতে পারবে।
১০. বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে, পরবর্তীতে ওই দিনগুলো ডিউটি পালন করে পূরণ করতে হবে। অন্যথায় সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে না।
১১. প্রশিক্ষণকালীন মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন হলে, ছুটিকালীন দিনগুলো পরবর্তীতে ডিউটি পালন সাপেক্ষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
১২. প্রশিক্ষণকালীন সময়ে অবশ্যই এপ্রোন পরিধান করতে হবে এবং অবৈতনিক চিকিৎসকের পরিচিতি ব্যাজ (Badge) ব্যবহার করতে হবে।
১৩. কর্তব্যরত ওয়ার্ডের ইউনিট প্রধান/আরএস/আরপি/রেজিস্ট্রার/সহকারী রেজিস্ট্রারের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১৪. কর্তব্যরত অবস্থায় ইউনিট প্রধান/আরএস/আরপি/রেজিস্ট্রার/সহকারী রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।
১৫. যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে মনোনীত ইউনিট ছাড়াও যে কোন বিভাগে দায়িত্ব পালনে বাধ্য থাকবে।
যারা সার্জারি বিভাগে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তাদেরকে নিউরো-সার্জারি বিভাগে দুই সপ্তাহ ও শিশু সার্জারি বিভাগে দুই সপ্তাহসহ রোটেশন অনুযায়ী সার্জারির সহযোগী বিভাগে ডিউটি করতে হবে। ডিউটি পালন শেষে নিউরো-সার্জারি ও শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বা ইউনিট প্রধান প্রদত্ত ছাড়পত্র সার্জারি বিভাগে জমাদানের পর সার্জারি বিভাগের সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক প্রশিক্ষণার্থীদের চূড়ান্ত সনদপত্র প্রদান করবেন।
মেডিসিন বিভাগে যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তাদেরকে মেডিসিন বিভাগ ছাড়াও মেডিসিনের সহযোগী বিভাগে রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করতে হবে। যাদেরকে প্রশিক্ষণে মনোনীত করা হবে পরবর্তীতে তাদেরকে হাসপাতালের পরিচালকের অনুমতি স্বাপেক্ষে স্ব-স্ব বিভাগে কাজ করতে দেওয়া হবে। অনুমতি ব্যতীত প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে না।
Discussion about this post