হার্টবিট ডেস্ক
চীনে আবারও নতুন করে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩১ হাজার ৪৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক শনাক্ত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এমন পরিস্থিতিতে দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন দিয়েছে চীন সরকার। খবর বার্তা সংস্থা এপির।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ মাসের মধ্যে চলতি সপ্তাহে করোনায় প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মোট মৃতের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৩২। বর্তমানে দেশটির দক্ষিণ শহর গুয়াংজু ও দক্ষিণ-পশ্চিম চংকিং, চেংডু, জিনান, লানঝো এবং জিয়ানের মতো শহরগুলিতে প্রতিদিন শত শত নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঝেংঝোউ প্রদেশের ৮ জেলার ৬৬ লাখ মানুষকে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে আগামী ৫ দিন শুধু খাবার কেনা ও চিকিৎসা ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার উপদেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও, নগর প্রশাসন প্রতিদিন গণ-পরীক্ষা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্যোগকে ‘ভাইরাস ধ্বংসের যুদ্ধ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
চীনের দক্ষিণের গুয়াংজু ও উত্তরে বেইজিংয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও উৎপাদনকেন্দ্রগুলো বিভিন্ন পর্যায়ের লকডাউনের আওতায় আছে। এতে কম মজুরিতে কাজ করছেন এমন অভিবাসী শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
অর্থনীতির ওপর চাপের কথা স্বীকার করে চীনের মন্ত্রিসভা বলেছে, পর্যাপ্ত তারল্য নিশ্চিত করতে চীন সময়মত ব্যাংকের নগদ রিজার্ভ এবং অন্যান্য আর্থিক নীতির সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করবে।
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় ২০২০ সালে উৎপাদনসহ অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিলেও এবার সেই নীতি থেকে তারা সরে এসেছে চীন। মানুষের সংস্পর্শে আসার জন্য ‘ক্লোজড লুপ ব্যবস্থাপনা’র মাধ্যমে শ্রমিকদের কারখানার ভেতরেই থাকার ব্যবস্থা করছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।
Discussion about this post