হার্টবিট ডেস্ক
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধরন, স্থান (বিভাগ বা সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা) ও বিছানা বিভাজন অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি সারাদেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকসমূহের সেবা বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রোববার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক নোটিসে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘একেক হাসপাতালের একেক রকমের চার্জ, টেস্ট ফিস সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রাইভেট সেক্টর এর কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় তার জন্য গাইড লাইন তৈরি এবং ক্যাটাগরি করে সেবার ফি নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কাজ করা হবে।’
বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বেড সংখ্যা, যন্ত্রপাতি, অবস্থান ইত্যাদি ভেদে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ, বি, সি ও ডি ক্যাটাগারিতে ভাগ করা হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরি এক রকম সুবিধা, ‘বি’ ক্যাটাগরি এক রকম সুবিধা পাবে। সারাদেশে অলিতে গলিতে প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। কিছু ক্লিনিক মানসম্মত সেবা দিলেও অধিকাংশের সেবার মান ভালো নয়। ক্লিনিকগুলোতে মানসম্মত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নেই। খুব দ্রুতই ক্লিনিক সেবার জন্য একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে।’
পর্যালোচনা শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব ডা. মাইনুল আহসানসহ স্বাস্থসেবার বিভিন্ন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১. স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে প্রস্তুতকৃত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর একটি সেবা মূল্য তালিকা (খসড়া) সকল বিভাগীয় শহরের বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে সভা করে একটি খসড়া তালিকা আগামী সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
২. বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধরন, স্থান ভেদে (বিভাগ বা সিটি কর্পোরেশন/জেলা/উপজেলা) এবং বিছানা বিভাজন অনুযায়ী হাসপাতালকে ভাগ করে বিভাজনের একটি খসড়া প্রস্তুতপূর্বক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবেন।
৩. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বেসরকারি হাসপাতালসমূহে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ফিস বা চার্জ নির্ধারণ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে বেসিক অপারেশন রেট, রুম রেট এবং বেসিক টেস্টের মূল্য নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করতে হবে।
৪. পরবর্তী সভায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
Discussion about this post