হার্টবিট ডেস্ক
একের পর এক রেকর্ড ছাড়াচ্ছে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা। এডিস মশাবাহিত এই ভাইরাসে সরকারি হিসেবে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অক্টোবরেই মৃত্যু হয় ৮৬ জনের। চলতি নভেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উন্নতির আশা করা হলেও হয়েছে সম্পূর্ণ উল্টো। বরং মাসের ২০ দিনেই অক্টোবরের মৃত্যু সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। সংক্রমণও একই গতিতে ছুটছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি রোগীদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ছয়জন। এতে করে মাসের ১০ দিন বাকি থাকতেই মৃতের সংখ্যা ৮৯ জনে ঠেকেছে। যা আগের মাসের তুলনায় তিনজন বেশি।
একই সঙ্গে নতুন করে ৬৪৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্তের কথা জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতেই ৩২০ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গুর শিকার হয়েছেন ৫২ হাজার ৮০৭ জন। রোববার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুই হাজার ৪৭৮ জন। যার অর্ধেকের বেশি রাজধানীতে।
সংক্রমণের যে উচ্চমুখী প্রবণতা তাতে আক্রান্তেও অক্টোবরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে নভেম্বর। গত মাসে যেখানে প্রায় ২২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে নভেম্বরের ২০ তারিখে রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছুঁই ছুঁই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, অন্যান্য বছর জুলাই-আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও চলতি নভেম্বরে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে সংক্রমণ শুরু হলেও জুনে প্রথম একজনের প্রাণহানি ঘটে। এরপর প্রতি মাসেই মৃত্যু হয়েছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, বর্তমানে যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই ডেঙ্গি-৩ এর শিকার এবং একাধিকবার আক্রান্ত হওয়া। এ সমস্ত রোগীদের সঠিক সময়ে হাসপাতালে আনা না গেলে দ্রুত সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে যায়। এ বছর বেশি মৃত্যুর এটিও একটি কারণ বলে মত তাঁদের।
Discussion about this post