হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্ব সিওপিডি দিবস আজ বুধবার। প্রতিবছর ১৬ নভেম্বর বিশ্বব্যাপি দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। অসংক্রমক রোগগুলোর মধ্যে সিওপিডি ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমুনারি ডিজিজ) অন্যতম। পৃথিবীব্যাপি মৃত্যুর মধ্যে এই সিওপিডি রোগটির অবস্থান তৃতীয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিওপিডি বা দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগটি মূলত শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। সিওপিডির লক্ষণ হলো দীর্ঘস্থায়ী হাঁপানি, কাশি, কফ, নিশ্বাসে শাঁ শাঁ শব্দ, দম ফুরিয়ে যাওয়া, বুকে চাপবোধ ইত্যাদি। ধূমপানের সঙ্গে এই অসুখের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আর যারা ধূমপান করেন না, তাদের সিওপিডি হওয়ার আশঙ্কা কম। এ ছাড়াও দূষিত বায়ুর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং পরিবেশ দূষণ, ধুলা, ধোঁয়া ইত্যাদির কারণে ফুসফুসে প্রদাহের সৃষ্টি করে, যা দীর্ঘস্থায়ী সিওপিডির কারণ হতে পারে।
তারা বলেন, হাঁপানি বললে অনেকে চিনতে পারে কিন্তু সিওপিডি বললে চিনতে পারে না। এই রোগটি কখনো নিরাময়যোগ্য নয়, শুধু নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তাই দেশের সব মানুষ যাতে সিওপিডি চিনতে পারে, সে ব্যাপারে সচেতনতা জরুরি। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিওপিডিতে প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় তিন মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। জৈব বস্তুজাত জ্বালানি নির্গত ধোঁয়া ও গ্রাম, উপশহর ও বস্তি এলাকায় রান্না-বান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানি যেমন-গোবর, কাঠ, খড়ের নির্গত ধোঁয়া ঘরের ভেতরে বায়ু দূষণ ঘটায় যা গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও নারীদের মধ্যে এই রোগের অন্যতম কারণ।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে জনসংখ্যার শতকরা ১২ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ ফুসফুসজনিত সমস্যা বা সিওপিডিতে (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) আক্রান্ত। যার মধ্যে শতকরা ২৪ দশমিক ৮ ভাগ ধূমপায়ী, ২৮ দশমিক ১ ভাগ সাবেক ধূমপায়ী। যারা বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন এবং ৬ দশমিক ১ ভাগ অধূমপায়ী।
Discussion about this post