হার্টবিট ডেস্ক
আজ রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ডেঙ্গুর নতুন গাইডলাইন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় আমরা ভালো আছি। আমাদেরকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি-ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাসপাতালও পরিস্কার রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, প্রথমে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পেয়েছিলাম। সকলে মিলেই সুন্দরভাবে মোকাবেলা করেছি। তখনও অনেক সমালোচনা হয়েছে। তখনও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা থাকলে চিকিৎসা নিয়ে কোন সমালোচনা ছিলো না। এরপর কোভিড আসলো, তখন একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল করে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। সারাদেশেই এটিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ট্রিটমেন্ট প্রটোকল ভালো ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিলো না, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ছিলো না, একটি মাত্র ল্যাব ছিলো। বিনামূল্যে আমরা রেমডিসিভির দিয়েছি। অর্থাৎ যখন যেই ব্যবস্থা বিশ্বে প্রয়োগ হয়েছে, আমরা সেটিও করেছি এবং সর্বোপরি সফল হয়েছি।
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবায় সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আবার ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে। যারা কাজকর্ম করে, তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছে। ২০-৩০ বছরের মধ্যে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনদিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে দেরিতে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি বেশি হচ্ছে। তবে সময়ের প্রয়োজনে আগের গাইডলাইনটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। নতুন গাইডলাইনে আশা করি ডেঙ্গু কমে আসবে। শীতও চলে আসছে। সকল ডাক্তার নার্স, টেকনিশিয়ানরা কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে করোনার ধাক্কা, যুদ্ধ, সবমিলিয়ে আমরা বড় একটি ধাক্কা খেয়েছি। এখন আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। শুধু যে আমাদের দেশেই ডেঙ্গু হচ্ছে তা নয়, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই দেখা দিয়েছে। আমাদের থেকে তাদের বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসার মান বৃদ্ধি করার জন্য সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আসরা চাই ডাক্তারদের উপস্থিতি। এবং যন্ত্রপাতিগুলো যেন সচল থাকে। অনেক সসময় আল্ট্রা-ইকো মেশিনগুলো নষ্টনথাকে, যেকারণে রোগীরা বাইরে চলে যায়। যাদের মেশন নেই, চাহিদ দিবেন, আমরা দিয়ে দিব। হাসপাতালগুলো পরিস্কার রাখবেন। রিপোর্টিংটা সবসময় চালু রাখবেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির ও অন্যান্য চিকিৎসকরা।
Discussion about this post