হার্টবিট ডেস্ক
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে একটি মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্যে দেশ ভরে গেছে। যে খাবারগুলোই আমরা খাচ্ছি, তার সবই প্রায় ভেজাল মেশানো। তিনি বলেন, ‘ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে, হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীদের এখন জায়গা হয় না।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাকসবজিসহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষ মেশানো হচ্ছে। সেই বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যানসার, কিডনিসহ বড় বড় জটিল রোগগুলো এখন দ্বিগুণহারে বেড়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক, খাদ্যে বিষ মেশালে সেই কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক কোন, ছাড় দেওয়া হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বত্র ভেজাল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এই ভেজাল কারবারিদের এখনই থামিয়ে দিতে হবে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের ভূমিকা আরও জোড়ালো করার পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে।’
ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, সেটি নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভেজাল আর বন্ধ হবে না, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে। কিন্তু চিকিৎসা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই দিতে হবে। কাজেই আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্য খাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান করবো।’
এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদিসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন স্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post