হার্টবিট ডেস্ক
প্রখ্যাত সার্জন অধ্যাপক ডা. এ এস এম ফজলুল করিম (৮৯) আর নেই। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে আমেরিকার ভার্সিনিয়ার নিউ টাউনস্থ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)।
চিকিৎসকদের সংগঠন এফডিএসআর এর মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একইসাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সংগঠনটি।
মৃত্যুকালে দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার আমেরিকার সময় বিকেল ৪টায় ভার্সিনিয়ার উস্টার মুসলিম কবরস্থান প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ শেষে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়েছে।
কর্মজীবনে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (সার্জারি) পদে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট-সোসাইটি অব সার্জন্স অব বাংলাদেশ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট-ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব সার্জন্স বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট-চিটাগং মেডিকেল কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট-রোটারি ক্লাব অব চিটাগং, প্রাক্তন রোটারি ডিস্ট্রিক কনফারেন্স চেয়ারম্যান, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট-সিনিয়র ডক্টর্স ক্লাব, প্রাক্তন ট্রেজারার ও বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট-বিএনএসবি চট্টগ্রাম, প্রাক্তন সিন্ডিকেট সদস্য-ইউএসটিসি ও প্রাক্তন সিন্ডিকেট সদস্য-বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৩৩ সালের ৮ জুন বৃহত্তর খুলনার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে অধ্যাপক ডা. এ এস এম ফজলুল করিম জন্মগ্রহণ করেন। একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও প্রখ্যাত সার্জন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।
Discussion about this post