অনলাইন ডেস্ক
চাকরিতে মন বসে না, সবসময় মন টানে পর্বতে। তাই পেশায় চিকিৎসক হয়েও নাম লিখিয়েছেন পর্বতারোহণে।
ডা. বাবর আলী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের সাবেক এ শিক্ষার্থী সম্প্রতি আরোহণ করেছেন হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম পর্বত ‘আমা দাব্লাম’এ।
ছেলেকে চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল বাবা-মায়ের। সেই স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি নিজের স্বপ্নও পূরণ করেছেন তিনি।
নেপালের ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার অনিন্দ্য সুন্দর ও অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত হলো ‘আমাদাব্লাম’। খুম্বু এলাকায় অবস্থিত এই পর্বতের অনেকাংশ ৭০ থেকে ৯০ ডিগ্রি ঢালু পথ। এছাড়া বৈরি আবহাওয়াও বিরাজ করে সবসময়। বাংলাদেশ থেকে ইতিপূর্বে এই পর্বত অভিযানে অনেকে অংশ নিলেও সফলতা আসেনি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) নেপালের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৯টায় প্রথমবারের মতো এই পর্বত শিখরে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ওড়ালেন তরুণ পর্বতারোহী মো. বাবর আলী।
বাবর আলীর বন্ধু ফরহান জামান বলেন, বাবরের পর্বতের প্রতি আগ্রহ বেশি। এজন্য সে চাকরির টাকা ও ছুটি জমিয়ে পর্বতারোহণে যায়। যেহেতু এ সেক্টরে স্পন্সর নেই তাই অর্থের যোগান দিতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন পর্বতারোহীরা।
গত ৯ অক্টোবর বাবর পর্বতারোহণের জন্য নেপালের পথে যাত্রা শুরু করেন। ১১ অক্টোবর প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আবহাওয়া। বৈরি আবহাওয়ার কারণে কাঠমাণ্ডু থেকে নিয়মিত লুকলার বিমান বন্ধ হয়ে যায় ওই সময়। তাই পরদিন সড়কপথে যাত্রা করেন বেসক্যাম্পের দিকে। কিছুপথ গাড়িতে এবং বাকিপথ হেঁটে ১৯ অক্টোবর পৌঁছান আমা দাব্লাম বেসক্যাম্পে। ২৩ অক্টোবর ভোরে বেসক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করে ক্যাম্প-১ এ এবং পরদিন উঠে যান ক্যাম্প-২ এ। ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পৌনে ১২টায় শুরু হয় চূড়ায় পৌঁছানোর চূড়ান্ত চেষ্টা। ভোরে তিনি এই পর্বতের শীর্ষে পৌঁছে যান।
হাটহাজারীর বুড়িশ্চর ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা বাবর নিজেকে পর্বতপ্রেমী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন তিনি।
পর্বতারোহণকে ধ্যান-জ্ঞান মেনে তিনি বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেন ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর করেছেন এক বা একাধিক পর্বতারোহণ। সৌজন্যে-বাংলানিউজ
Discussion about this post