হার্টবিট ডেস্ক
চিকিৎসার জন্য কাউকে যেন ঢাকাতে আসতে না হয়, এজন্য সারা দেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহুতল মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ভবনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে। গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। বিশ্বে এই প্রতিষ্ঠানের নাম ছড়িয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, পেটের পিড়া নিরাময়ে দেশে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল ছিল না। লিভার ও গলব্লাডারসহ পেটের আরও কিছু জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য এটি প্রথম বিশেষায়িত হাসপাতাল। মাত্র কয়েক বছরে বেশ সুনাম অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আরও ভালোমানের সেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক, নার্সসহ সবাইকে কাজ করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক বিশেষায়িত হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। যেমন- বার্ন ইনস্টিটিউট, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, গ্যাস্ট্রোলিভার ও নিউরোসাইয়েন্স হাসপাতাল। বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন দেশের সব জায়গা থেকে মারাত্মক দগ্ধ রোগীরা আসছে। দেশের সব বিভাগে এ রকম হাসপাতাল তৈরি হলে আর কেউ বাহিরে যাবে না। প্রতিটি বিভাগে বিশেষ হাসপাতাল হলে আর ঢাকায় আসতে হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নিউরো সায়েন্সে দেশে এখন যেভাবে চিকিৎসা হচ্ছে, সেগুলো আগে ছিল না। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিউরো, অর্থোপেডিক, মেন্টাল হেলথ এবং স্কিনের চিকিৎসার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। ডিপিপি হয়ে গেছে। বিদেশে আর কাউকে দৌড়াতে হবে না। বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ তৈরি হচ্ছে। এক্সপার্ট হচ্ছে। এটিও সরকারের অনেক বড় সফলতা।’
চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো হাত থাকেনা। স্বাস্থ্যখাত চিকিৎসা দিতে পারে, কিন্তু মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়। ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে দ্রুততম সময়ে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালের ১০০ বেড থেকে ৫০০ এবং বিএসএমএমইউ এর নতুন নির্মিত ফিল্ড হাসপাতালের ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো বৃদ্ধি করা হবে। তবে মশা কমাতে হবে, এবং একই সঙ্গে দেশের মানুষকে মশা যাতে না কামড়াতে পারে, সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে মশারি লাগিয়ে ঘুমাতে হবে এবং বাসা বাড়ি পরিস্কার রাখতে হবে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর মাহমুদ হাসান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্রিগত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম শিশির, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, এবং গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. গোলাম কিবরিয়াসহ কর্মকর্তারা।
Discussion about this post