হার্টবিট ডেস্ক
বাঁধাকপি রবি মৌসুমের একটি প্রধান সবজি। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বাঁধাকপির চাষ হয়। বাঁধাকপি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। এর উপকারিতাও রয়েছে অনেক ।
পুষ্টিগুণ:পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী বাঁধা কপিতে খাদ্য উপাদান হলো: প্রোটিন ১.৩ গ্রাম, শর্করা ৪.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.০৬ মিলিগ্রাম, বি২ ০.০৫ মিলিগ্রাম, সি ৬০ মিলিগ্রাম, ই ৬.৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩১ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০০ মাইক্রোগ্রাম, খাদ্য শক্তি ২৬ কিলোক্যালরি।
উপকারিতা:
বাঁধাকপি হাড় ভালো রাখতে সহায়তা করে: বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম যা হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এছাড়াও বাঁধাকপিতে উপস্থিত ভিটামিন হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা নিয়মিত বাঁধাকপি খান তাঁদের বার্ধক্যজনিত হাড়ের সমস্যার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ বা ফাইবার রয়েছে যা কোন ক্যালরি ছাড়াই পেট ভরাতে সাহায্য করে। যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা তাঁদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাঁধাকপি রাখুন। বাঁধাকপিতে খুবই সামান্য পরিমাণে কোলেস্টেরল ও চর্বি রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: বাধাকপিতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা নিয়মিত বাঁধাকপি খান তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
আলসার নিরাময়ে উপকারী: বাধাকপি আলসার প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়ক। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বাঁধাকপির রস আলসারের জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রাকৃতিক ওষুধ।
হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: বাধাকপিতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বাধাকপির রস নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দূর হয়। এছাড়া বাধাকপি বুক জ্বালা-পোড়া, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দূর করে।
কিডনি সমস্যা প্রতিরোধ করে: কিডনি সমস্যা প্রতিরোধে বাধাকপি একটি অপরিহার্য সবজি। যারা কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ডায়ালাইসিস করিয়ে থাকেন, তাদের জন্য কাঁচা বাধাকপি খাওয়া উত্তম।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: বাধাকপি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে। বাধাকপিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীর থেকে ফ্রি রেডিকেল দূর করে শরীরকে ক্যান্সার মুক্ত রাখে।
Discussion about this post