হার্টবিট ডেস্ক
এখন থাইরয়েডের সমস্যা ঘরে ঘরে। এটি ঘাড়ের কাছে অবস্থিত এমন একটি গ্রন্থি, যা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হরমোন ক্ষরিত হয়।
তাই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে বিগড়ে যেতে পারে হরমোনের ভারসাম্য, দেখা দিতে পারে একাধিক রোগ। অনেক সময়ে অল্প থাকতে বোঝা যায় না রোগের উপসর্গ। আর রোগ চিনতে যেটুকু দেরি, তাতেই নষ্ট হয় অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ সময়।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তা ধরা পড়তে পারে রোগীর চোখে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘থাইরয়েড আই’। থাইরয়েডের সমস্যা থেকে চোখে যে অসুবিধা তৈরি হয়, তা এক প্রকার ‘অটোইমউন ডিজিজ’। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে, তা ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার বদলে উল্টে দেহের বিভিন্ন অঙ্গকেই আক্রমণ করে বসে। একেই অটোইমউন ডিজিজ বলে। আসলে এ ক্ষেত্রে দেহেরই কোনো অংশকে ক্ষতিকর ভেবে তার বিরুদ্ধে ভুলবশত প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে শরীর।
থাইরয়েডের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এই একই সমস্যা দেখা দেয় চোখ ও তার আশপাশের পেশিতে। চোখের আশপাশের পেশিকে চিনতে না পেরে তাকেই আক্রমণ করে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। এর কারণে চোখ ও তার পার্শ্ববর্তী নমনীয় পেশিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এই প্রদাহের কারণে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
>>> অনেক সময়ে বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় যেন, চোখের অক্ষিগোলক কোটরের বাইরে বেরিয়ে আসবে।
>>> রক্তের মতো লাল হয়ে যায় চোখ। শুরু হয় ব্যথা।
>>> অতিরিক্ত পানি পড়া অথবা চোখ একেবারে শুকিয়ে যাওয়াও এই রোগের লক্ষণ।
>>> দেখা দিতে পারে দ্বৈত দৃষ্টি। এমনকি, দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
কী করবেন?
যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন, তাদের নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকলে অল্পেই ধরা পড়তে পারে সমস্যা। থাইরয়েডের রোগীদের চোখ ফুলে উঠলে কোনো মতেই দেরি করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অনতিবিলম্বে।
সূত্র: আনন্দবাজার
Discussion about this post