হার্টবিট ডেস্ক
হাঁপানি হলো ফুসফুসীয় শ্বাসনালির দীর্ঘ মেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। এর বৈশিষ্ট্য হলো রোগটি বিভিন্ন মাত্রায় ও বার বার লক্ষন দেখা দেওয়া এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা না করলে খারাপ হতে থাকা, শ্বসনপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হওয়া এবং অল্পতেই ব্রঙ্কোস্পাজম বা শ্বাসনালি সরু হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় চলে যাওয়া যার ফলে হাঁপানি বেড়ে যায়।
বেশিরভাগ মানুষই হাঁপানির সমস্যা আগে থেকে টের পান না। সাধারণ কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট ভেবে অনেকেই এড়িয়ে যান। আপনারও যদি হাঁপানির লক্ষণ সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে জেনে নিন অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে-
>>> হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শ্বাসকষ্ট। যখন-তখনই হতে পারে শ্বাসকষ্ট। যখন শ্বাসনালী স্ফীত ও সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ফলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
>>> প্রদাহের কারণে যখন শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যায় তখন হাঁপানির টান ওঠে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সময় শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সময় বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হতে পারে।
>>> কাশি হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ। ধুলা-বালি, কুয়াশা, ধোঁয়ার কারণে হাঁপানির ঝুঁকি বাড়তে পারে। যখন এই মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে, তখনই জ্বালা ও প্রদাহ হয়। ফলে কাশি হয়।
এমনকি হাঁপানির ফলে কাশি হলে তা সহজে সারতে চায় না। শীতকালে এমন রোগীদের কাশির সমস্যা আরো বাড়তে পারে। হাঁপানির কারণে হওয়া গুরুতর কাশির সমস্যাকে কফ-ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা বলা হয়।
>>> হাঁপানির আরো একটি লক্ষণ হলো বুকে চাপা ভাব অনুভূত হওয়া। এক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয় ফলে বুকের মধ্যে টান বাড়ে ও চাপাভাব অনুভব হয়।
>>> দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া হাঁপানির আরো একটি লক্ষণ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্টের সময় ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণরূপে বাতাস বেরিয়ে যায়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই দ্রুত শ্বাস নিতে বাধ্য হন।
এসব লক্ষণ ছাড়াও কথা বলতে সমস্যা, দুশ্চিন্তা কিংবা অস্থিরতা, অত্যাধিক ঘাম ও ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হাঁপানির ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
Discussion about this post