হার্টবিট ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় চট্টগ্রাম নগরসহ ১৫ উপজেলায় ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের জরুরি মুহূর্তে সেবা দিতে চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম কাজ করবে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পাঁচটি করে মেডিকেল টিম, নয়টি আরবান ডিসপেনসারির অধীনে নয়টি টিম, চট্টগ্রাম স্কুল হেলথ ক্লিনিকে একটি টিম ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগের মুহূর্তে কোথাও কোনো মেডিকেল সাপোর্ট প্রয়োজন হলে আমাদের মেডিকেল টিম তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।
এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডেকেছেন জেলা প্রশাসক। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ সভা শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছে জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে আলাদা কন্ট্রোল রুম।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে অথবা সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
Discussion about this post