হার্টবিট ডেস্ক
ভোরে কিংবা সন্ধ্যার বাতাসে হালকা ঠান্ডা অনুভূতি জানিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীতের আগমন বার্তা। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দেয় বহু মানুষের মধ্যে। এছাড়া জ্বর, কাশি, সর্দি, ঠান্ডা লাগার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এ কারণে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় এমন কিছু রাখা প্রয়োজন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যেমন-
ঘি : বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রায়ই খাবারে বা রান্নায় ঘি ব্যবহার করা হয়। অথবা গরম ভাতের সঙ্গে এমনিই ঘি খাওয়া হয়। কিন্তু এই খাবার শুধুই স্বাদ বৃদ্ধির জন্য নয়। বরং, ঘি-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে যে উপকারী উপাদান রয়েছে, তা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে।
গুড় : বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন। গুড়ের উপকারিতা অনেক। এটি বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
আদা চা : শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল, চায়ে একটু আদা মিশিয়ে খেলে,তা আলাদা মাত্রা যোগ করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আদা চা শুধুই খেতে ভালো বলে খাওয়া হয় না। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। বিশেষ করে শীতকালে এই চা বেশি উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শীতকালের নানা অসুখও প্রতিরোধ করে।
কাঠবাদাম– রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন খেতে পারে কাঠবাদাম। এতে থাকা ভিটামিন ই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। স্ন্যাক্স হিসেবে ভাজাভুজি বা অন্য কোনও খাবার না খেয়ে কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পালং শাক : সবুজ শাক সবজি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এটা সকলেরই জানা। শীতকালে বিশেষ করে পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বেটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় এই শাক রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
Discussion about this post