হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস আজ (২০ অক্টোবর)। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘স্টেপ আপ ফর বোন হেল্থ’। প্রতিবছর বিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে ২০ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়।
অস্টিওপোরোসিস হলো হাড় ছিদ্র রোগ। এ রোগ হলে প্রথমে কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে হাড় খুব দুর্বল হয়ে যায়। এক সময় সমস্যা গুরুতর হয়ে যায়। তখন সামান্য চোট লাগলেই হাড়ে ব্যথা হয়ে যেতে পারে। কোমর, মেরুদণ্ড ও হাতের কবজির হাড় সবচেয়ে বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। এ জন্য ৫০ বা তার বেশি বয়সীদের হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আর এ বয়সের মহিলাদের মাসিক সাধারণত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়। এ কারণে তারা এ রোগে আক্রান্ত হন। এ ছাড়া ভিটামিন ‘ডি’ ও ক্যালসিয়াসের অভাব হলে অস্টিওপোরোসিস দেখা দিতে পারে। তাই এ রোগের বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
অর্থোপেডিক সোসাইটির গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বে প্রতি তিন সেকেন্ডে একজনের মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙে। ৫০ বছর বয়সে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৫ শতাংশ এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ৭০ শতাংশ মানুষ অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত হন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে নারীদের মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধের পর অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ ও কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও হাড়ক্ষয়জনিত রোগ হতে পারে।
Discussion about this post