হার্টবিট ডেস্ক
নারীদের জন্য ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বেশির ভাগ নারীর এই সময় ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। তাই মানসিক এবং শারীরিক কিছু পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। যেমন- জোরে হাঁচি-কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে আসা বা পেটের চারপাশে জমতে থাকা বাড়তি মেদ, এই নিয়ে মাথা ঘামাননা অনেকে।
তেমনই একজন নারী সাহানা ( ছদ্মনাম)। তার বয়স যখন ৬০ বছর, তখন হঠাৎ এক দিন লক্ষ্য করলেন দেহের অন্যান্য অংশে কোথাও মেদের চিহ্নটুকুও নেই। শুধু ঐ পেটের অংশটি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে।
তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সব পরীক্ষা হওয়ার পর দেখা যায়, তার ডিম্বাশয়ে অস্বাভাবিক কিছু একটা রয়েছে। কিন্তু তা কোনো ভাবেই টিউমার বা ফাইব্রয়েড নয়।
চিকিৎসক জানান,‘সিউডোমিক্সোমা পেরিনোতেই’ নামের একটি বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। চলতি ভাষায় অনেকে একে ‘জেলি বেলি’ও বলেন। এই ক্যান্সার মূলত পেটের নিচের দিকে যে কোনো অঙ্গকে আক্রান্ত করে। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ এই ক্যান্সার কোনো টিউমার গঠন করে না। বরং শরীরের ভেতর থলি জাতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জেলির মতো তরল পদার্থ তৈরি করে। দিনে দিনে বাড়তে থাকা তরলের আকার দেখলে, বাইরে থেকে তাই চট করে কারও মনে খটকাও লাগে না।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, সাহানার ক্যান্সার হয়েছিল কিন্তু অ্যাপেনডিক্সে। আস্তে আস্তে তার ডালপালা যখন ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তখন বিষয়টি সাহানার নজরে আসে।
এই ক্যান্সার কী আদৌ সারে?
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ক্যান্সারের চিকিৎসা আছে। কিন্তু তা পুরোপুরি সেরে যায় না। শরীর থেকে অ্যাপেনডিক্স এবং ডিম্বাশয় বাদ দেওয়া হলেও চিকিৎসা এখানেই শেষ নয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে তাকে।
অবলম্বনে আনন্দবাজার
Discussion about this post