হার্টবিট ডেস্ক
দেশের জনগণের মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নীতি ও কর্মকৌশলের বাস্তবায়নের জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপি (১৩-১৪ অক্টোবর) চতুর্থ গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ সামিটে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে। করোনা মোকাবিলায় আমরা দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছি। এজন্য বিশ্বে বাংলাদেশ আলাদা করে পরিচিতি পেয়েছে৷ এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মানসিক স্বাস্থ্যকেও সফলভাবে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে আমরা সক্ষম হবো।’
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ আইন, নীতি এবং কর্মকৌশল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নীতি ও কর্মকৌশলের বাস্তবায়নের জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে একটি করে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য স্কুল মেন্টাল হেলথ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত এবং মানসিক স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ই-মেন্টাল হেলথ ও অ্যাপভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়াসমূহকে আরো বেগবান করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে ‘স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ’কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় কমিউনিটি বেইজড মেন্টাল হেলথ সার্ভিস প্রদানে দেশের বিদ্যমান প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা অবকাঠামো যেমন-১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ৪ হাজার ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, ৫০০ উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কমিউনিটির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য ব্যক্তি নির্বাচন, তাঁদের প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, অর্থায়ন ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে গতকালের অনুষ্ঠিতব্য কান্ট্রি ইন্টারভেনশন পর্বে জাহিদ মালেক কমিউনিটি মেন্টাল হেলথ এবং ইনোভেশন এন্ড মেন্টাল হেলথের উপর তথ্য ও উপাত্তসহ বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এবারের গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ সামিটে সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য – ‘দক্ষতা, অধিকার এবং যত্ন’ এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সকলের জন্য কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ৫২টি রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইতালীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরেনজা।
Discussion about this post