হার্টবিট ডেস্ক
ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সহজেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয় এবং জয়েন্ট পেইনের মতো সমস্যাও দেখা দেয়।শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘটতি থাকলে এ ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। এসব সমস্যা থেকে সেরে উঠতে সপ্তাহখানেক বা কারো ক্ষেত্রে মাসখানেকও সময় লাগতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, শ্বাসরোগ বা অন্য কোনো রোগ থাকে, তাদের বেলায় সময় আরও বেশি লাগে। এ সময়ে কাজের মাত্রা বা চাপ তাড়াতাড়ি নয়, বরং ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে।
বিশ্লেষণক্ষমতা কমে: ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর রোগী দুর্বল থাকে, অবসাদগ্রস্ত থাকে, মাথা হালকা থাকে, চলাফেরার সময় কিছু ভারসাম্যহীনতা থাকে, গভীর ও নিবিড়ভাবে কাজে মনোনিবেশ করা যায় না। ব্রেনের বিশ্লেষণক্ষমতা হ্রাস পায়, তাই এ সময়ে জটিল কাজ নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো। বরং জটিল ধরনের কাজ করতে গেলে এক ধরনের অবসাদ ও হতাশা সৃষ্টি হবে।
করণীয়–
বাইরে বের হোন
প্রথমে বাড়িতে চলাফেরা শুরু করুন, এরপর বাড়ির বাইরে বের হোন। বাজার ও অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করুন। অফিসে হালকা রুটিন ওয়ার্ক করুন।
তরল খাবার কমিয়ে দিন
ডেঙ্গুর সময় রোগীরা সাধারণত তরল, নরম ও সহজপাচ্য খাবারের ওপর নির্ভরশীল থাকে। জ্বরের সময় যেগুলো খেতে বলা হয়েছে, সেগুলো নিয়ম করে খান। ধীরে ধীরে তরল, নরম ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া আগের তুলনায় কমিয়ে ফেলুন।
ব্যায়াম নয়
ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর ব্যায়াম করা বন্ধ রাখুন। জিমে যাওয়ার আগে এক বা দুই মাস অপেক্ষা করুন।
ঘুম
রাত ১০টার পর আর জেগে না থাকাই ভালো। ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
বিশ্রাম নিন
অন্য সময় দিনের বেলায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলেও ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর দিনে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যাস করুন। দুপুরে খাওয়ার পর ঘণ্টাখানেক ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অফিসে থাকলে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাটান।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন
এ সময়ে কোনো মানসিক চাপ নেবেন না। মেজাজ ঠাণ্ডা রাখলে সতেজ ও ফুরফুরে থাকতে পারবেন।
Discussion about this post